প্রকাশিত: : মার্চ ৯, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫ পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রতীকী ছবি
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫ পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অন্তর্র্বতী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, আবরার ফাহাদ এবার মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন।
ওই পোস্টে বলা হয়, দঅন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক সাবেক শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বৈঠক শেষে জানান, এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য কাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, সে বিষয়ে গতকাল ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, যাঁরা বাংলাদেশের জন্য জীবনব্যাপী অবদান রেখেছেন এবং নতুন কিছু তৈরি করেছেন যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। সেটি যেকোনো ক্ষেত্রে—সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান বা সমাজসেবার ক্ষেত্রে নতুন ধারা, যেটি এখনো সারা দেশকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আগে তাঁদের সেভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
তবে নাম চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে গতকাল ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, এটি সুপারিশ।
পরদিন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর ফেসবুকে জানালেন, আবরার ফাহাদ এবার মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার নির্মম মৃত্যু সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রতীক হিসেবে স্মরণ করা হয় তাকে।