প্রকাশিত: : এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত অতিরিক্ত ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হয়েছে। ওয়াশিংটনের সময় অনুযায়ী বুধবার দিন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত।
মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ক্যারোলিন জানান, “আজ বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বেশকিছু চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক কার্যকর হচ্ছে।” তার এই বক্তব্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করা হলো।
গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। সে সময় চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়, যা আগের ২০ শতাংশ শুল্কের ওপর যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশ। কিন্তু এরপর থেকেই ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন এবং হুঁশিয়ারি দেন যে, বেইজিং যদি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় তবে শুল্ক আরও বাড়ানো হবে।
চীনও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পিছিয়ে থাকেনি। গত শুক্রবার তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। চীনের এই ঘোষণা প্রত্যাহার না হওয়ায় একদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের ঘোষণা বাস্তবায়ন করেছে।
বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, “চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকি একটি ভুলের ওপর আরেকটি ভুল। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণার অভ্যাস আবারও সামনে এলো। চীন কখনোই এটা মেনে নেবে না।” তিনি আরও জানান, বেইজিং এই অর্থনৈতিক যুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ চালিয়ে যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থায় এমন শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি ও বহুমুখী হতে পারে। এর ফলে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যই নয়, পুরো বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।