শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে এনসিপি

টিএনসি ডেস্ক

প্রকাশিত: : এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে এনসিপি

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্বাচন ব্যবস্থাবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এসব আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের যে সুপারিশ এসেছে, তাতে একমত পোষণ করেছে দলটি। এনসিপির নেতারা বলছেন, এই ব্যবস্থায় তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব উঠে আসার পথ খুলে যাবে এবং তারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০, যেগুলোতে সরাসরি ভোট হয় না। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব আসন পায়, তার অনুপাতে নারীদের মনোনয়ন দিয়ে এসব আসনে নির্বাচিত করা হয়। এনসিপির মতে, এই পদ্ধতিতে নারীরা প্রকৃত ক্ষমতায়ন থেকে বঞ্চিত হন এবং তাদের ভূমিকা অনেকাংশে প্রতীকী থেকে যায়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ১০০টি আসনে নারীদের জন্য সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। এতে করে এমপিদের আত্মীয়দের নয়, যোগ্য নারী প্রার্থীরাই ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রবেশ করবেন। এতে রাতারাতি দেশব্যাপী নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে এবং তাদের দায়বদ্ধতাও বাড়বে। বর্তমান পদ্ধতিকে সময় ও অর্থের অপচয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসন থাকুক, তবে তা হোক সরাসরি ভোটের মাধ্যমে।

আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, নারী আসনে নারীরাই নারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন এবং জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। বর্তমানে অনেক নারী শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সংসদে প্রবেশ করেন, অথচ তৃণমূলের যোগ্য নারীরা উপেক্ষিত থেকে যান। তিনি বলেন, দেশজুড়ে অনেক সংগঠক নারী রয়েছেন, যারা সরাসরি নির্বাচিত হয়ে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।

সংসদীয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এনসিপি আরও জানায়, তারা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের পক্ষে, যেখানে নিম্নকক্ষে ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ উন্মুক্ত থাকবে এবং ১০০টি সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট হবে। উচ্চকক্ষ গঠনে ১০০ জন সদস্য পার্টিগুলোর ভোটের অনুপাতে এবং পাঁচজন রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে নির্বাচিত হবেন বলে কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, এনসিপি তাতেও একমত। তবে উচ্চকক্ষের প্রার্থী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে ঘোষণা করার বিষয়েও বাধ্যবাধকতা রাখার পরামর্শ দিয়েছে দলটি।

ভোট গণনার পদ্ধতিতেও এনসিপি প্রস্তাব দিয়েছে যে, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতিতে ভগ্নাংশ ৫ শতাংশের বেশি হলে তা পরবর্তী পূর্ণসংখ্যায় উন্নীত করা হোক। এতে নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও প্রতিনিধিত্ব আরও বিস্তৃত হবে বলে মনে করে দলটি।

Link copied!