প্রকাশিত: : মার্চ ১১, ২০২৫, ১০:২৯ পিএম
২০১৬ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে “স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫” দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করেছে সরকার। এর ফলে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার পুনর্বহাল রইলো।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এ বছর পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন— বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর, প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ।
আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে তিনি নিহত হন।
উল্লেখ্য, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। তবে ২০১৬ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে (মরণোত্তর) প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।